Header Ads Widget

স্মার্ট জীবন-যাপনের জন্য এই ৭টি উপায় মেনে চলুন

স্মার্ট জীবন-যাপনের জন্য এই ৭টি উপায় মেনে চলুন

জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি।বিভিন্ন উপায়,বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকি।

আজকে ঠিক এমনি ৭টি উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব যা মেনে চললে সহজেই স্মার্ট ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।

আপনার জীবনে কেউ না কেউ এমন আছে,যারা শুধু আপনার সাথে কীভাবে তর্ক করা যাই,সেই সুযোগ খুজে।  আবার,এমনও হয় যে,আপনি কাউকে কিছু বুঝাতে চাইছেন কিন্তু সে বুঝতে চাইছে না।কিংবা সে বলছে,আপনি যা বলছেন তা ভুল।

স্মার্ট জীবন-যাপনের জন্য এই ৭টি উপায় মেনে চলুন

তর্কে যাবেন না (একদম ঠিক বলছ!এ কথা বলে তর্ক থেকে সরে আসুন)

আপনার জীবনে কেউ না কেউ এমন আছে,যারা শুধু আপনার সাথে কীভাবে তর্ক করা যাই,সেই সুযোগ খুজে।

আবার,এমনও হয় যে,আপনি কাউকে কিছু বুঝাতে চাইছেন কিন্তু সে বুঝতে চাইছে না।কিংবা সে বলছে,আপনি যা বলছেন তা ভুল।

তো এমনই পরিস্থিতিতে আপনাকে তর্কে না গিয়ে,ঠান্ডা মাথাই 'তুমি ঠিক বলছ' বলে সেখান থেকে চলে আসতে হবে।
তাহলেই একটি সহজ জীবন-যাপন করতে পারবেন।

অতিরিক্ত কাজের চাপ নিবেন না (কিছু সময় আপন জনদের সাথে সময় কাটান)

আমাদের জীবনকে সুন্দর,সুখী ও আনন্দময় করে গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজ করে থাকি এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকি।

তবে,আমাদের এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে,এই কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ পরে না যায়।অন্যদিকে খানিক মানসিক চাপ পরে গেলেও তা পরিবারের সাথে সময় দিয়ে দূর করে ফেলুন।

এই খানিকটা সময় হতে পারে ১ঘন্টা কিংবা ৩০ মিনিটের তবে যদি বেশি সময় দিতে পারেন তাতে আরো বেশি ভালো।

পরিবারের সাথে কথা-বার্তা বলা কিংবা খানিক টা সময় হাটাহাটি করা প্রিয় জনের সাথে।এ সবই আপনাকে আপনার কাজের চাপ থেকে দূর করবে এবং পাশাপাশি কাজের প্রতি পুনরায় সচল করে তুলবে।

অতিরিক্ত ভাবনা বা চিন্তা থেকে দূরে থাকুন (আপনি যা ভাবেন তা রটে না)

বিপদে পড়লে আমরা সবাই বেশি চিন্তিত হয়ে পরি যার ফলে সমস্যা সমাধান নিয়ে আমরা ভাবতে পারি না।তাই যখনই কোনো বিপদে পড়বেন বেশি চিন্তিত হবেন না।

একটা কথা মনে রাখবেন,আপনি যা ভাবেন বা যা নিয়ে বেশি চিন্তা করেন তা কখনই ঘটে না।এক কথায় বলতে গেলে আপনি যেমনটা ভাবেন তেমনটা ঘটে না।

তাই অতিরিক্ত চিন্তা পরিহার করাই শ্রেয়,চিন্তা না করে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করুন।

ইতিবাচক মনোভাব রাখুন (মনোভাব যত ভালো হবে,জীবন-যাপন তত সুখের হবে)

সব-সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখুন।ভালো কিছু চিন্তা করুন।কারো সম্পর্কে খারাপ মনোভাব রাখবেন না।কারণ,আপনি জানেন না আপর জনের মনের অবস্থা কেমন কিংবা সে আসলে কি ভাবছে।

আপনার মনোভাবের ওপর নির্ভর করে,আপনি কতটা সুখে থাকবেন।জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব আপনাকে এনে দিবে সফলতা।

সুযোগ পেলেই বই পড়ুন (বই পড়ার মাধ্যমে,মানসিক শান্তি খুজে পাবেন)

সপ্তাহে একটি বই হলেও পড়ার চেষ্টা করুন।এতে আপনার মানসিক ভার্সাম্য ঠিক থাকবে পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

বই পড়ার অভ্যাস আমাদের মাঝে খুবই কম।যার ফলে আমরা সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা করতে পারি না।তো,বই পড়ার অভ্যাস করুন সেটা হতে পারে উপন্যাসের বই,গল্পের বই কিংবা সাধারণ জ্ঞানের বই।

নতুন কিছু শিখুন (নতুন বিষয় শিখুন,নতুন কিছু জানুন)

কখনোই ভাববেন না আপনি সব কিছু জানেন কিংবা আপনার আর কিছু জানতে হবে।সর্বদা নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন।

নতুন জ্ঞান আপনাকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করবে।আর নতুন নতুন কিছু শিখতে পারলে নতুন বিষয়ে জানতে পারবেন।

যত জানতে পারবেন তত আপনার জীবন চলা সহজ হয়ে উঠবে।সকল বিষয়ে জ্ঞান থাকার ফলে আপনি সহজেই কঠিন অবস্থাতেও সমাধান বের করতে পারবেন।

আলসেমি পরিহার করুন (কোনো কিছু তৎক্ষনাৎ করে ফেলুন আলসেমি ঝেড়ে ফেলে)

অনেক সময় কাজ করতে করতে কিংবা অন্য কিছু করতে আমাদের আলসেমি চলে আসে।এই আলসেমিকে তৎক্ষনাৎ দূর করার অভ্যাস করতে হবে।

যদি তা করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনি আপনার নির্দিষ্ট কাজে পিছিয়ে পরবেন।পাশাপাশি হতাশ হয়ে পরবেন।

তাই আলসেমি দূর করতে "২ সেকেন্ড রুল"অনুসরণ করুন।নিয়মটি খুবই সহজ,যখনি মনে হবে আলসেমি করতে চলেছেন তখনই ২ সেকেন্ড এর মধ্যে কাজটি করা শুরু করে দিন।

ব্যস দেখবেন,আপনার আর তখন অই কাজ করতে আলসেমি আসবে না।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম কীভাবে সহজেই একটি স্মার্ট জীবন-যাপন করা যায়।
পাশাপাশি ধৈর্য করা,আলসেমি দূর করা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারলাম।

আশা করি,আপনাদের পোষ্টটি ভালো লেগেছে।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এবং এরকম আরো অসাধারণ তথ্য,জ্ঞান,জীবন-যাপন সম্পর্কে টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।ধন্যবাদ!


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Article End Ads